ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে জুলাই যাদুঘরের সামনে গড়ে তোলা প্রতীকী সমাধিস্তম্ভ নিয়ে সম্প্রতি কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি দেখা দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মেমোরিয়ালের মূল কাঠামো ও ভাবনা স্পষ্ট করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ফারুকী লিখেছেন, ‘মেমোরিয়ালটির মূল কাঠামো একটি বৃত্তাকার মার্বেল ফর্মেশন, যেখানে গত ১৬ বছরে— জুলাইসহ ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে প্রাণ হারানো সকল শহিদের নাম স্থান পেয়েছে। এখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বয়স বা পেশাভেদে কোনো বিভাজন করা হয়নি। সব শহিদের নাম একই বৃত্তে রাখা হয়েছে, প্রতীকী ঐক্যের বার্তা দিতেই।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বৃত্তের মাঝখানে রয়েছে মুসলিম শহিদদের স্মরণে একটি প্রতীকী কবর এবং অন্যান্য ধর্মের শহিদদের স্মরণে থাকবে নামসহ পৃথক প্ল্যাকে শ্রদ্ধা।’
তিনি লিখেছেন, ‘‘মেমোরিয়ালের বাইরের অংশে স্থাপন করা হয়েছে একটি শক্তিশালী দুই লাইনের কবিতা, ‘দেশপ্রেমীদের রক্ত খেয়ে বাঁচতো যাহার সিংহাসন, সেই শহিদদের দখলে আজ রক্তখেকোর আবাসন।’’
এই কবিতার রচয়িতা জুলাই অভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহ। তার এই কাব্যিক অভিব্যক্তি আন্দোলনের ইতিহাস, শহিদদের ত্যাগ এবং বর্তমান সময়ের প্রতীকী প্রতিরোধকে তুলে ধরে।
তিনি পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, ‘ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ না রেখে এই মেমোরিয়ালটি ইতিহাসের সঠিক বার্তা বহন করবে—যেখানে জাতি একসঙ্গে মাথা নত করবে শহিদদের স্মৃতির সামনে, বিভক্তির নয়, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে।’