রংপুর: নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের কাছে আটক রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও বিএনপিপন্থী পেশাজীবী সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ বি এম মারুফুল হাসানের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ‘সর্বস্তরের ছাত্র জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির সাবেক সমন্বয়ক ইমতিয়াজ হোসেন ইমতি।
মিছিলে বক্তারা ডা. মারুফকে স্থায়ীভাবে অপসরণের দাবি জানান। পরে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন এবং পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের এমন অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে ডা. মারুফকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে; নাহলে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘অপসারণের বিষয়টি মন্ত্রালয়ের। এ ব্যাপারে আমরা অবগত করেছি। তবে ছাত্র জনতার এই দাবিগুলো যৌক্তিক। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
উলেখ্য, বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টারে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন ডা. এ বি এম মারুফুল হাসান। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চিকিৎসকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা ফ্ল্যাটে গিয়ে তাকে নারীসহ আটক করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হাসপাতালের পরিচালক। পরে তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে উভয়কে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় চিকিৎসক ডা. মারুফুল হাসান জানান, আটক ওই নারী তার পূর্বপরিচিত। তার বাবার অসুস্থতার বিষয়ে পরামর্শ নিতে এসেছিল।
তবে আটক নারী বলেন, ‘আমি চিকিৎসককে আগে থেকেই চিনি। একজন নারী বিনা কারণে তো আর একটি পুরুষের বাসায় আসে না।’
রংপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।