ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে ব্যবসায়ীদের কাছে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়েছে সরকার।
বুধবার (০৬ আগস্ট) এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী সংগঠন সূ্ত্রে এ কথা জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা- এ দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিলে গত মে-জুন মাসে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। এর ফলে শিল্প, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দর, আমদানি-রফতানি, উৎপাদন, সেবা খাত লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেইন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। বিশেষ করে আমদানিকারকরা শিল্পের কাঁচামাল ও উপকরণ এবং তৈরি পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেন নি। রফতানিকারকেরা সময় মতো রফতানি করতে পারেন নি। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত: এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গত ১৬ জুলাই ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে সরকার। আইআরডি’র যুগ্ম সচিব সৈয়দ রবিউল ইসলাম-কে আহ্বায়ক করে গঠিত ৯ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, এনবিআর, আইআরডি, ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। গঠিত এ কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে- গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অফিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ, দুই মাসব্যাপী শুল্ক, ভ্যাট ও কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি পালনের কারণে সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তরসহ অন্য দপ্তর ও কর কার্যালয়ে রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং এই কর্মসূচি পালনের কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সব স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারির পর সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে প্রায় দেড় মাস আন্দোলন করেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি পাওয়ার পর এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের আর্থিক পরিমাণ জানতে চেয়ে সকল সদস্য সংগঠন ও চেম্বারগুলোকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।