ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন হলে নিজেরা ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের নবম কমিশন সভা মুলতবি করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ভুল তথ্য, মিথ্যা তথ্য এবং বিদ্বেষ ছড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করতে আচরণবিধিতে নির্দিষ্ট বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র প্রার্থী ও দলের জন্য প্রযোজ্য হলেও, অন্যান্য পক্ষকেও মোকাবিলা করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইসি সানাউল্লাহ আরও জানান, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেশের ৪৫ হাজার কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করা একটি ব্যয়বহুল ও জটিল প্রক্রিয়া। এত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা বা ভাড়া করা কঠিন। এ বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে এবং তারা বিকল্প উপায় খুঁজছে। এর মধ্যে বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার মতো প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৮ থেকে ২০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি আরপিও সংশোধনের ফলে, যা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে।