গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম আর ইসরায়েলে পাঠানো হবে না। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় জার্মানি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্জ শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বৃহত্তম শহরটি দখলের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। একদিন আগে নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গাজা উপত্যকার সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং মারাত্মক খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে।
ম্যার্জ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম রফতানির অনুমোদন জার্মান সরকার আর দেবে না।’ যদিও তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার ও হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখেন, তবে ক্রমবর্ধমান বেসামরিক প্রাণহানি উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন।
শুক্রবার ম্যার্জের সঙ্গে আলাপ করে নেতানিয়াহু অস্ত্র রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন। ইসরায়েলি সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত হামাসকে পুরস্কৃত করছে এবং ইসরায়েলের ‘ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ’কে সমর্থন করছে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত জার্মানি ইসরায়েলের কাছে ৪৮৫ মিলিয়ন ইউরো (৫৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের অস্ত্র রফতানির অনুমতি দিয়েছিল।