চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ে ও ক্যান্টিনে পচা সিদ্ধ ডিমসহ পরিত্যক্ত খাবার পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের মুখে হলের ক্যান্টিন বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘স্বাস্থ্যকর খাবার দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘আমার হলে বৈষম্য, মানি না, মানব না’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন সেখানে যান। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জানা গেছে, পচা, বাসি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগে শনিবার দুপুরে স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিন ও দোকানে অভিযান চালান সেখানে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা। এ এফ রহমান হলের ডাইনিংয়ের ফ্রিজে পাওয়া যায় পচে কালচে রঙের হয়ে যাওয়া খাওয়ার অনুপযোগী সিদ্ধ ডিম। ক্যান্টিনের ফ্রিজে পাওয়া যায় রান্না করা বাসি মাংস ও খিচুড়ি।
পরিত্যক্ত এসব খাবার সদ্য রান্না করা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হতো, এমন অভিযোগ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হলের ডাইনিংয়ে এবং ক্যান্টিনে অনেকদিন ধরে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসব খাবার খেয়ে নানা অসুখে ভুগছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনের ফ্রিজগুলোতে তল্লাশি করি। সেখানে জমিয়ে রাখা এমন সব খাবার পাওয়া গেছে, যেগুলো খাওয়ার পুরোপুরি অনুপযোগী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন ঘটনাস্থলে যাবার পর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা মানসম্মত খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ ১৩টি দাবি তুলে ধরেন। দাবির মুখে তিনি ক্যান্টিন বন্ধের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন সারাবাংলাকে বলেন, ‘খাবারের অবস্থা এত বাজে, আমরা নিজেরাই দেখলাম। এত বাজে খাবার পেয়েও যে শিক্ষার্থীরা মব সৃষ্টি করেনি, সেজন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের জন্য আগে মব হয়েছিল। আমরা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে। হলের ভেতরে যে দোকান আছে সেটাও বন্ধ থাকবে।’