চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপ লোহাভর্তি একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই কনটেইনার খালাস আপাতত স্থগিত রেখেছে। ১১ বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়ার উপস্থিতি মিলল।
গত ৬ আগস্ট বন্দরের ৪ নম্বর গেট দিয়ে কনটেইনারটি ছাড় করানোর সময় মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘মেগাপোর্টস ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম’ এতে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ডেমরার আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড ব্রাজিল থেকে ১৩৫ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহার চালানটি আমদানি করে। গত ৩ আগস্ট পাঁচ কনটেইনারে স্ক্র্যাপ লোহাগুলো নিয়ে এমভি মাউন্ট ক্যামেরন নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ব্রাজিলের মানাউস বন্দর থেকে কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি পানামা, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বন্দর ঘুরে চট্টগ্রামে আসে।
এরপর চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি-৭ জেটিতে সেটি নোঙ্গর করে কনটেইনারগুলো খালাস করে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি কনটেইনার খালাসের আগে রেডিয়েশন সেন্সরে সংকেত পাওয়া যায়। এর পর সেটি আটকে রাখা হয়।’
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ এ তিন ধরনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা।
কনটেইনারে থাকা স্ক্র্যাপ ও দেওয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে বলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অভিমত।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান বলেন, ‘কনটেইনারটির ডেলিভারি স্থগিত করা হয়েছে। সেটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের বিশেষজ্ঞরা সাইটে পরিদর্শন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতে যাওয়া একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয়েছিল।