ঢাকা: আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে আগামী সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং জাতীয় যুবশক্তি প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। এদিন সম্মেলনে যুব ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি যুব উইং।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন একটি যুব সমাজ গঠন করবো যেখানে ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ বৈষম্যের কোনও স্থান থাকবে না। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সম্মেলন নয়—বরং তরুণদের কণ্ঠস্বর শোনার, তাদের নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়ার এবং তাদের দায়বদ্ধতা বোঝানোর এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।’
তিনি জানান, সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণ নেতৃত্ব, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতারাও যোগ দেবেন।
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে পালিত যুব দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—যেকোন পরিবর্তন শুরু হয় স্থানীয় পর্যায় থেকেই। তরুণরা কেবল স্বপ্নদ্রষ্টা নয়, তারা পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। টেকসই উন্নয়ন থেকে শুরু করে ন্যায়সংগত কার্যক্রম—সবক্ষেত্রেই তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
১২ আগস্টের এই সম্মেলনে উন্মোচিত হবে বাংলাদেশের জাতীয় যুব ইশতেহার—যা হবে জনগণের কাছে সরাসরি এক প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে সবার জন্য সমান মর্যাদা, সৎ নেতৃত্ব, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, স্থানীয় ঐক্য, উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ এবং লিঙ্গ, ধর্ম বা জাতিগত কারণে কাউকে পিছিয়ে না রাখার অঙ্গীকারে।
সম্মেলনের শেষ অংশে অংশগ্রহণকারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শপথ নেবেন যে, ক্ষমতার ভেতরে বা বাইরে থাকুক—কখনো জনগণের আস্থা ভঙ্গ করবেন না এবং জনগণের সম্পদের অপব্যবহার করবেন না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম কক্সবাজারের ঘটনা ও সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ছড়ানো গুজবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রতিনিয়ত মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছেন এনসিপি নেতারা। আমরা চাঁদাবাজি করতে আসিনি, দেশের জন্য কিছু করতে এসেছি। কিছু রাজনৈতিক পক্ষ তরুণ নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারছে না, তাই নানাভাবে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০ লাখ যুবক বেকার। আমরা চাই, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হোক। জুলাই আন্দোলনে তরুণরা জাতির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’