Tuesday 09 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক আরও কমতে পারে: খলিলুর রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৫ ২২:৫৩ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৫ ১১:২৭

যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক আরও কমতে পারে: খলিলুর রহমান

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পালটা শুল্ক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরও কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। একই সঙ্গে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে কোন চুক্তি হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আর ট্যারিফ ইস্যুতে করা বিভিন্ন চুক্তি পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বাতিলযোগ্য বলেও জানান তিনি।

রোববার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত সংবধর্না অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইং এর অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজীজ রাসেল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ অর্জন করায় সরকারের প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিটিএমএ।

খলিলুর রহমান বলেন, ‘সকল প্রতিযোগী দেশের ট্যারিফ এখনো নির্ধারিত হয়নি, তাদের যে ট্যারিফ দেওয়া হবে। আমাদের ওপর আরোপিত ট্যারিফ আরও কমে যেতে পারে। গেল ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা কাজ করছি। ট্যারিফ এডজাস্ট হলে আমরা কমিয়ে ফেলতে পারতাম, কিন্তু এটি জটিল প্রক্রিয়া। নানা ধরণের জাতীয় নীতি ও নিরাপত্তা ইস্যু এর সঙ্গে জড়িত। আমরা সব বাধ্যবাধকতা (অবলিগেশন) নিতে পারিনা। ভূঁরাজনৈতিক ফাঁদে পা দিতে চাইনি। যারা বলছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছি, তাদের জানার অভাব। ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে বসে একশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে।‘

নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা তিনটি মূলনীতির ওপরে ভিত্তি করে দর কষাকষি করেছি। প্রথম বিষয় হচ্ছে যে আমরা নির্বাচিত সরকার নই। ফলে আমরা পরবর্তী সরকারের ওপরে কোন দায়/বাধ্যবাধকতা (অবলিগেশন) রেখে যেতে পারি না। সুতরাং পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকতে হবে; তারা এটার পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা বাতিল করতে পারবে। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি এমন একটা চুক্তি নিয়ে, যেটা বাতিলযোগ্য।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর