ঢাকা: রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ শুরু করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাতে জাতীয় সংসদ এলডি হলে আয়োজিত বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স, গণভোট, অধ্যাদেশ জারি, সংবিধান সভা গঠন এবং লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও)–সহ নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে।
বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা এমন একটি টেকসই ও শক্তিশালী পথ খুঁজছি, যা দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, সব বিকল্প গভীরভাবে যাচাই করা হবে।’
কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘গণভোট ও সুপ্রিম কোর্টের মতামত–সহ নানা প্রস্তাব এসেছে, যার ভালো-মন্দ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত বছরের অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ওপর রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়তে গঠিত হয়। প্রথম দুই ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অনেক বিষয়ে একমত হওয়া গেছে, যার মধ্যে সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নিয়োগ, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল সীমিতকরণ এবং নির্বাচন কমিশন গঠন অন্তর্ভুক্ত।