নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফ ইউনিয়নে বিবি কুলসুম সুমাইয়া (৩) নামে এক শিশু হত্যার অভিযোগে সৎমা শিউলি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ শিশুটির সৎমা শিউলি আক্তারকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎ মা শিউলি আক্তারের (২৫) সাথে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শিউলি তার সৎ মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর তাকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ায়। এরপর বিকেলের দিকে ঘুমান্ত সুমাইয়া কোনো সাড়া না দেওয়ায় শিউলি আক্তার বাসায় ডাক্তার নিয়ে আসেন। তখন ডাক্তার জানায় শিশুটি আরও আগে মারা গেছে। রোববার সকালে সুমাইয়ার মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর গ্রামের বাড়ির উপজেলার খানপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির মরদেহকে গোসল দেওয়ার সময় তার কানে ও গলায় আঘাতের চিহৃ স্থানীয় লোকজন দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানায়।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ৯৯৯-এ সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে তার সৎমা মেরে ফেলেছে বলে একটি অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে মৃত শিশুর গলায় ও ডান কানে আঘাতের চিহৃ থাকায় সৎমাকে আটক করে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহত শিশুর দাদি মারজাহান বেগম বাদী হয়ে সৎমা শিউলি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত পরে তার জামিন না মঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।