নওগাঁ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হলো ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠন করা। জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলেও সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁ শহরের কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও সরকারের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে রেখে গেছে। দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে বিএনপির। তাই এই অবস্থা উত্তরণ করতে সক্ষম হবে দলটি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে; তাতে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা থাকলে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের স্বার্থের বদলে তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে। যখন তারা দেশ লুটপাটে ব্যস্ত ছিল, তখনই বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা দাবি ঘোষণা করে। যারা এখন সংস্কারের কথা বলছেন, বিএনপি তাদের আড়াই বছর আগেই এই দাবি তুলেছিল।’
এর আগে দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, রাজশাহী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম বাদশাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
নানা সীমাবদ্ধতায় এতদিন সম্মেলন করতে না পারলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ঘটা করেই সম্মেলনের আয়োজন করেছে দলটি। ১৫ বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে পুরো শহর সেজেছে নেতৃত্বে আসা নেতাদের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে। ১৭ বছর ধরে হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাবরণে জর্জরিত নেতাকর্মীরা এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছেন।