ঢাকা: আরপিও সংশোধন প্রস্তাবের অধিকাংশই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অ.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত এলে তা নিয়ে ইসির কোনো দ্বিমত থাকবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মুলতবি থাকা কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক কনসেনসাস এর ব্যাপার আছে, সেগুলো আলাদাভাবে যখন আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো। তখন আমাদেরকে যদি সেভাবে অনুরোধ করা হয়, তখন সেই সংশোধনী উপস্থাপন করব। সেগুলোর বিষয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নাই।’
ইসি সানাউল্লাহ আরও জানান, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে ইসির দিক থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। তবে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এলে যে কোনো সময় যুক্ত করা যাবে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘ইসির জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ইসিরও আপত্তি ছিল; সেসব প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয় আজকের বৈঠকে।’
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, এগুলোর সঙ্গে আর ঐকমত্যের কোনো রেলেভেন্স নাই, আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ঐকমত্য কমিশনে এর বাইরেও কিন্তু আরপিও রিলেটেড কিছু কিছু প্রভিশন আসতে পারে এবং সংশোধনীর প্রয়োজন হতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি আরও জানান, আরপিওতে এক প্রার্থীর তিন আসনের পরিবর্তে দুটি আসনে ভোট এবং প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সংশোধনী আনতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা, ইসির জবাবদিহিতা নিশ্চিতের সংস্কার সুপারিশের বাস্তবায়নের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সব কিছু এ সপ্তাহে চূড়ান্ত করে আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।