Sunday 17 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধাওয়াপাড়া–নাজিরগঞ্জ নৌরুট
২ ফেরির একটি অকেজো, আরেকটি তীব্র স্রোতে কাহিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০১ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৫ ১০:৩৮

ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত। ছবি: সারাবাংলা

রাজবাড়ী: পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়ায় রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া (যৌকুড়া) ও পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচলা ব্যাহত হচ্ছে। এই ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে সকাল ৯টা, দুপুর সাড়ে ১২টা, বিকেল ৫টা ও রাত ১০টায় ফেরি চলাচল করে। তবে নির্দিষ্ট সময় ফেরি ছেড়ে না যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার (১১আগস্ট) বিকেলে ধাওয়াপাড়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশকিছু ট্রাক ও মাইক্রোবাস সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘাটে ফেরি থাকলেও সেটিতে যানবাহন উঠছে না। ফেরি বন্ধ থাকায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিড বোটে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ রুটে নিম্নমানের মাত্র দুটি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে ‘করবী’ কিছুদিন আগে সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ফেরিটি ঘাটে নোঙর করা আছে। অন্য ফেরি ‘ক্যামেলিয়া’ এতদিন চলাচল করলেও এদিন সকালে তীব্র স্রোতের কারণে মাঝনদী থেকে ফিরে আসে। বিকেলে ‘গৌরী’ নামের একটি ফেরি আরিচা থেকে আসে। তারপর যানবাহন নিয়ে পাবনার নাজিরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় গাড়ির সারি। ছবি: সারাবাংলা

মোশররফ হোসেন নামের এক ট্রাকচালক সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘খোকশা থেকে পাবনার যাওয়ার উদ্দেশে আসি রোববার রাত ৯টায়। তখন কর্তৃপক্ষ বলে, ফেরির সমস্যা, সকালে ছাড়বে। সারা রাত বসে আছি। সকালে ফেরি ছাড়লেও তীব্র স্রোতের কারণে ঘাটেই ফিরে আসে। কখন এই সমস্যার সমাধান হবে তা কেউ বলতে পারছে না। অন্য একটি ফেরি আরিচা থেকে এলে তার পর চলাচল শুরু হবে। অন্য পথে গেলে অনেক ঘুরে যেতে হবে বলে বসে আছি।’

মাইক্রোবাসচালক লতিফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি পাবনা থেকে রাজবাড়ীর গোদারবাজারে একটি বিয়ের ভাড়া নিয়ে আসছিলাম। রোববার রাত ৯টা থেকে ঘাটে বসে আছি। কখন আরিচা থেকে ফেরি আসবে জানি না। এখানে খাওয়া-দাওয়ার অনেক কষ্ট, থাকার কষ্ট, শৌচাগার মানসম্মত নয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা শিরাজুল ও মঞ্জু সারাবাংলাকে বলেন, এই ফেরি ঘাটটি আধুনিকায়ন করতে হবে। মাঝে মাঝেই ফেরি নষ্ট হয়ে যায়। এতে চালকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই ঘাটে দিয়ে অনেক যানবাহন পারাপার হয়। ঘাটটি সবসময় চালু থাকলে স্থানীয় জনগণ লাভবান হবে। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বাড়বে।

ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক বাণিজ্য রবিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নদীর তীব্র স্রোতের কারণে রুটের দু’টি ফেরি চলতে পারছে না। আরিচা ঘাট থেকে গৌরী নামে একটি ফেরি আনা হয়েছে। বিকেল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা নতুন ফেরির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দেওয়া কথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে মাসে নতুন ফেরি পেতে পারি।’

সারাবাংলা/পিটিএম

অকেজো কাহিল ধাওয়াপাড়া–নাজিরগঞ্জ নৌরুট ফেরি চলাচল স্রোত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর