ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে সর্বপ্রথম মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ভিপি প্রার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তবে শিক্ষার্থী নিপীড়নের অভিযোগে জুলিয়াস সিজারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন সলিমুল্লাহ হল সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জাওয়াদ ইবনে ফরিদ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জুলিয়াস সিজার।
জুলিয়াস সিজার তালুকদার ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাই, ডাকসুর ভোটার তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজার তালুকদার’র নাম বাদ দিতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন- ২০২৫ চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষক ও হল সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জাওয়াদ ইবনে ফরিদ।
তিনি আবেদনপত্রে লিখেছেন, ‘মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ-২০১৪-২০১৫, রেজি: নম্বর ২০১৪-৯১৫-৮৫৫। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন শিক্ষার্থী নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায় ডাকসু ভোটার তালিকা থেকে উক্ত শিক্ষার্থীর নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’
এর আগে ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে হল সংসদের জয়ী হওয়া এই নেতা বর্তমানে ডাকসুতে নির্বাচন করা নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ওই নির্বাচনের পর হলের ছাত্র ফরিদ হাসানকে মেরে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ওই হলে প্রতিবাদ করতে গেলে সিজারের অনুসারীরা ডিম নিক্ষেপ ও মারধর করেছিল। এছাড়াও, সিজার ছাত্রলীগের নিপীড়নের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় জড়িত ছিলেন।
তবে সিজারের দাবি, ২০১৯ সালের পর তিনি আর ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি ২০১৯ সালের পর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ২০১৭ সালে তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের একটি পদে ছিলেন।