ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং ‘জাতীয় যুবশক্তি’ সাত দফা যুব ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ইশতেহার ঘোষণা করেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’-এ তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতীয় যুবশক্তির সাত দফা যুব ইশতেহার-
প্রথম দফা: কর্মসংস্থান- গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় যুবকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মসূচি হাতে নিবে যুবশক্তি। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কিভাবে কৃষি কাজ ও খামার উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
দ্বিতীয় দফা: চাকরির নিরাপত্তা ও সুবিধা- মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে যাতে প্রতিবছরই বেতন বৃদ্ধি, চাকুরিজীবী নারীরা যাতে নিরাপদে অফিস করতে পারে, সেই ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস স্থায়ীকরণ করা। প্রতিটি কর্মসংস্থান স্থলে ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা এবং নিরাপদে যাতে নারীরা বাড়িতে ফিরতে পারে, সে জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
তৃতীয় দফা: গণতন্ত্র নেতৃত্ব- জাতীয় যুব সংগঠন গড়ে তুলবে। যাতে, স্থানীয়ভাবেও তরুণরা নেতৃত্বকে কাজে লাগাতে পারে। স্থানীয় পর্যায় থেকে সংসদীয় পর্যায় পর্যন্তও যেনো নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে পারে তরুণরা। পাশাপাশি নারী নেত্রীদেরকে তাদের নেতৃত্বের জায়গায় এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করবে যুবশক্তি।
চতুর্থ দফা: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক পুনর্বাসন গড়ে তোলা। তরুণরা যাতে মানসিকভাবে শান্তি নিয়ে কাজ করতে পারে সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। বিভিন্ন স্থানে জিম স্থাপন করা, পার্কের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং মাদক নিরাময়কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
পঞ্চম দফা: ক্রিড়া ও সংস্কৃতি সমন্বয় গঠন করা। যাতে করে খেলাধুলায় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুবরা তাদের মেধাকে জাগ্রত করতে পারে।
ষষ্ঠ দফা: ব্যবসা উদ্যোগ ও সফল বাণিজ্য গঠন করা। বেকারত্ব নিরসনের আরেকটি বিকল্প হচ্ছে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা করা। দুর্নীতিমুক্ত ব্যবসা করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গড়ে তোলা হবে। যাতে করে , নিজের ব্যবসা করেই নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে তরুণরা।
সপ্তম দফা: দক্ষ অভিবাসন গড়ে তোলা। অনেকেই বিদেশে যেতে আগ্রহী। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাতে প্রতারিত না হয়, সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ। এ জন্যও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যক্রম করা হবে।
আ্যডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই না চাঁদাবাজি, চাই না সন্ত্রাস, লুটতরাজ ও দুর্নীতি। সেই লক্ষ্যে আমাদের এই ইশতেহার। যা যুব সমাজকে সৎভাবে রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যাওয়ার পথকে মসৃণ করবে।’