ইতালির জেনোয়া বন্দরে সৌদি আরবের একটি অস্ত্রবাহী জাহাজের গন্তব্য পথ আটকে দিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। জাহাজটি ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র বহন করছিল বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সৌদির এ জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে আসে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ক্র্যাডল’-এর বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
রুটিন তল্লাশির সময় ৪০ জন শ্রমিক জাহাজে উঠে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পায়, যা ইসরায়েলে পাঠানো হচ্ছিল। স্বায়ত্তশাসিত বন্দর শ্রমিক সংগঠনের সদস্য জোসে নিভোই বলেন, আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না। তিনি জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্ত্র পাচারের উপর স্থায়ী নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইতালীয় ইউনিয়ন নেতারা সতর্ক করেছেন, এ ধরনের চালান সামলানো মানে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতা করা। তারা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য অস্ত্র খালাসে যে কোনো উপায়ে নিষেধাজ্ঞার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালেও জেনোয়া বন্দর শ্রমিকরা একই জাহাজে অনুরূপ অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ফ্রান্সের ফস-মার্সেই বন্দরের শ্রমিকরাও ৪ জুন ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র উপাদান বোঝাই করতে অস্বীকার করেন, ফলে জাহাজটি খালি হাতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
যদিও সৌদি আরব প্রকাশ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে তুলে ধরে, বাস্তবে রিয়াদ-তেল আবিবের মধ্যে গোপন সহযোগিতা চলছে। ২০২৩ সালে সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা রাবিহ আল-আনজি স্বীকার করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা গোলাবারুদের ঘাটতি হওয়ায় সৌদি আরব হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে।