ঢাকা: সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চীন দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আগেও ছিল, এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই সাংস্কৃতিক বন্ধন দুই দেশের সম্পর্কে এক নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে।’
ফারুকী বলেন, ‘ড্রোন গল্প বলার নতুন মাধ্যম। টেকনোলজি ও আর্টের একটা ফিউশন। এটি ন্যারেটিভ তৈরিরও অন্যতম অবলম্বন। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সহযোগিতায় প্রদর্শিত ছয়টি ড্রোন শো তরুণ প্রজন্মের কাছে বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয়েছে।’
ফারুকী জানান, নতুন প্রজন্মের ১১ জন ‘নিউ মিডিয়া’ উৎসাহী তরুণ-তরুণী ড্রোন ডিসপ্লের শিল্প ও প্রযুক্তি শেখার জন্য চীন যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ ভ্রমণ ব্যয় বহন করছে চীনা দূতাবাস, আর প্রশিক্ষণ দেবে সাংহাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রোস্টারস।
উপদেষ্টা আরও জানান, শিগগিরই আরেকটি দল চীন যাবে শিল্পকর্ম পুনর্নির্মাণ (আর্ট রিস্টোরেশন) বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে। আমাদের মেধাবী এই দল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীদের মাস্টারপিস সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফারুকী বলেন, ‘মিউজিয়ামের প্রসারের ক্ষেত্রেও একটি টিম চীন যাবে। চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের যাবতীয় অর্থ চীন বহন করবে। এ ছাড়া ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও জাদুঘর ব্যবস্থাপনায়ও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা চলছে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী সরকার এখান থেকেই কাজ এগিয়ে নেবে।’
এ ছাড়া ট্র্যাডিশনাল মিডিয়া ও নিউ মিডিয়ার প্রসার এবং কালচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চীনের মাঝে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তরুণ শিল্পীদের উদ্দেশ্যে ফারুকী শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘গুড লাক উইথ দ্য ট্রেনিং, গার্লস অ্যান্ড বয়েজ!’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।