চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নগরীর খুলশী থানার রেলগেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি বক্স ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ চালকরা। এতে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে খুলশী থানা ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথটিম নগরীর জালালাবাদ এলাকায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। জালালাবাদ থেকে ওয়ারলেস মোড় হয়ে আমবাগান এলাকায় যাওয়ার পর সেখানে অটোরিকশা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে বাধা দেয়। চালকদের আরেকটি দল রেলগেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে।
ওসি আফতাব বলেন, ‘অটোচালকরা ট্রাফিক বক্সে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সেখানে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এক কনেস্টেবল আহত হন। এ ছাড়া, তারা সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়।’ এ ঘটনার পর দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে সিএমপি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে পুলিশের জোরালো কোনো পদক্ষেপ ছিল না। এতে সড়ক ছেড়ে যেতে হয়নি অটোরিকশাগুলোকে। গত ১৮ এপ্রিল নগরীর কাপাসগোলা এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে খালে অটোরিকশা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। তখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে সরব হন।
এ অবস্থায় এপ্রিলে নগরীতে অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করার পয়েন্টগুলোতে এবং সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রিকশা উচ্ছেদে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন গ্যারেজে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়েও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। জব্দ করা হয় কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ব্যাটারি।
এর প্রতিবাদে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর নগরীর মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য কিছুটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি আবারও সড়কে অবৈধ এ যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট সিএমপি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নগরবাসীকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।