ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার উপকূলে অভিবাসীবাহী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে যাত্রা করে। এরপর ইতালি উপকূলে এসে নৌকাটি ডুবে যায়।
ইউএনএইচসিআর ও ইতালির রেড ক্রস জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ এবং চার নারীসহ ৬০ জন জীবিত উদ্ধার করেছেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা প্রায়ই উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগরীয় রুটে যাত্রা করেন। এতে বিভিন্ন সময়ে দুর্বল কিংবা ভঙ্গুর নৌকায় যাত্রা করা অভিবাসীরা ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারান।
ইতালিতে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো বলেছেন, ভূমধ্যসাগরের মধ্যাঞ্চলীয় রুটে সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭৫ জন অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটেছে।
বুধবার সকালের দিকে ইতালির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি বিমান লাম্পেদুসা থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে উল্টে যাওয়া একটি নৌকা ও পানিতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। এরপর সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয় বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইতালির একটি সূত্র জানিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, তারা বুধবার ভোরের দিকে লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে দুটি নৌকায় যাত্রা শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে একটি নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করলে সবাই অন্য নৌকায় উঠে যান। পরবর্তীতে উত্তাল সমুদ্রে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়।
ওই নৌকায় ৯২ থেকে ৯৭ জন অভিবাসী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নৌকার আরও অন্তত ১৭ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
ইতালির রেড ক্রসের কর্মকর্তা ক্রিস্টিনা পালমা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ‘‘ভালো’’ আছেন। তবে চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডি প্রমাণ করে অবৈধ সমুদ্রযাত্রা রোধ ও মানবপাচারকারীদের দমন অব্যাহত রাখা জরুরি।’