সুনামগঞ্জ: সিলেটে পাথর লুটে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই লুটে রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে।
সিলেটে সাদাপাথর লুটের প্রতিবাদের বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এই কর্মসূচি পালন করে।
বক্তারা বলেন, এভাবে একটি দর্শনীয় স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত। এতে লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাদের লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এরা আসলে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। এখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ, গাছ কাটা হয়। এখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটে রয়েছে। এই হাওর রক্ষায় বড় বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ’র সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’র আহবায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক ও মুজাহিদুল ইসলাম, সমাজকর্মী মোশারফ হোসেন, সংগঠনের জামালগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব তোফায়েল আহমেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদস্য আহমদ উসমান, ছাতক উপজেলার সদস্য সুজন তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলার সদস্য রকিব রোবায়াত, বাংলাদেশ শ্রমীক কল্যাণ ফেডারেশন সদস্য শফিউল আলমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।