ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর আওতাধীন ৫০টি থানায় এখন থেকে অনলাইনে জিডি করা যাবে। পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে এই সুবিধা চালু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানায় অনলাইন জিডি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে যে কেউ ঘরে বসেই অনলাইনে করতে পারবেন সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। গুগল প্লে স্টোর থেকে অনলাইন জিডি অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নির্দেশনা মোতাবেক স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সহজেই করা যাবে জিডি।
তালেবুর রহমান বলেন, থানায় নিয়মিত জিডির মতোই এতে একজন আবেদনকারী একটি জিডি নম্বর প্রাপ্ত হবেন এবং জিডি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য ও পাবেন। ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য সংরক্ষণ করা হয় বিধায় এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, অনলাইন জিডির মাধ্যমে পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের মূল্যবান সময়ও সাশ্রয় হবে। কেবল জিডি করাই নয়, জিডির ভিত্তিতে পুলিশ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকায় এটি নাগরিক জীবনে স্বস্তিও বয়ে আনবে। অনলাইন জিডির পাশাপাশি প্রচলিতভাবেও জিডি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন জিডি করার বিস্তারিত নিয়ম
গুগল প্লে স্টোর হতে ‘অনলাইন জিডি’ অ্যাপ ডাউনলোড অথবা অনলাইন জিডি পোর্টালে (gd.police.gov.bd) গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
১. নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর, পোর্টালে লগ ইন করুন।
২. “নতুন জিডি আবেদন” বা এই ধরনের অপশনটিতে ক্লিক করুন।
৩. যে বিষয়ে জিডি করতে চান, তার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন- বিবরণ, স্থান, তারিখ ইত্যাদি পূরণ করুন।
৪. যদি কোনো জিনিস হারিয়ে গিয়ে থাকে, তার বিবরণ এবং শেষ কোথায় দেখা গেছে, তার তথ্য দিন।
ছবি বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকলে আপলোড করুন।
৫. আবেদনপত্রটি ভালোভাবে দেখে, “জমা দিন” বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিন।
ডিএমপি জানায়, অনলাইন জিডি করার জন্য কোনো ফি লাগবে না। হারিয়ে যাওয়া জিনিস বা ঘটনার বিবরণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে জিডি করা যাবে। অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সঠিক দিতে হবে, যাতে পরবর্তীতে প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যায়।