Sunday 17 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৪ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১৪

বরিশাল: বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের মাঝের গেটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে হাসপাতালের সামনে বান্দ রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন নার্স, টেকনিশিয়ান এবং হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, হামলার পর অনশনরতদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, ফলে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আংশিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানায়, আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনিকে মারধরের জন্য খুঁজতে থাকেন তারা। তবে কর্মসূচি ঘোষণা করে আজ অনশনস্থলে আসেননি রনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতালের কর্মচারীরা স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকে অবৈধ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতে হাসপাতাল কম্পাউন্ড ছাড়াও মূল সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন তারা। সেখান থেকে ফিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেদম মারধর করা হয়।

আন্দোলনর শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাভিদ নাসিফ বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে গণঅনশন ছিল। কর্মসূচিতে আন্দোলনকর্মীরা হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। এসময় হাসপাতালের অ্যাপ্রোন গায়ে কর্মচারী-নার্স-টেকনিশিয়ানরা চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মারধর করেন এবং তার স্বজনদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর তারা অনশনে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন।

হাসপাতালের অফিস সহায়ক মিলন মোল্লা জানান, বুধবার বাস শ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় এক সিনিয়র নার্সের সঙ্গে অসদাচরণ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবারও আন্দোলন চলাকালে এক চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলায় আন্দোলনকারীদের হাসপাতাল এলাকা ছাড়তে বলা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি অফিসে ছিলাম। কারও ওপরে হামলা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।

আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি অভিযোগ করেন, আমাদের অনশনরত ভাইদের ওপর হাসপাতালের স্টাফ-কর্মচারীরা হামলা চালিয়ে ৩০-৪০ জনকে আহত করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৩ আগস্ট বরিশালে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলন করে জনভোগান্তি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঘোষণার পরদিনই আন্দোলনকারীদের ওপর হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালালেন।

সারাবাংলা/এসআর

বরিশাল স্বাস্থ্যখাত সংস্কার হামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর