প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি এমন ব্যক্তি নই যার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো ইচ্ছা নেই।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বার্নামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রফেসর ইউনূস। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সাক্ষাৎকারটির কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউনূস বলেন, ‘আমরা এক বছরের মধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছি। আগস্টে আমাদের প্রথম বছর শেষ হয়েছে, এবং আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।’ এই অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে ঐকমত্য কমিশন গঠন, যা ১১টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করছে।
তিনি জানান, চলতি মাসের শেষ নাগাদ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে, যা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার পথে বড় অগ্রগতি হবে।
সংবিধান ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলাও কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, যেমন সংসদ একক হবে নাকি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। ইউনূস বলেন, ‘রাজনীতিতে এসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন। এ নিয়ে বড় বিতর্ক চলছে।’
তিনি আরও জানান, কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে যাতে তাদের অবস্থান বোঝা যায় এবং উন্মুক্ত আলোচনাকে উৎসাহিত করা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশকে সঠিক পথে ফেরানো হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে বহু বছরের মধ্যে প্রথম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। এর আগে শেখ হাসিনার সময় হওয়া তিনটি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, বিতর্ক ও ভোটার দমনের অভিযোগ ছিল।
তিনি বলেন, ‘অনেক বছর পর এবার সত্যিকারের নির্বাচন হবে, কারণ অতীতের সব নির্বাচনই ছিল ভুয়া’।
তিনি আরও বলেন, এবারকার নির্বাচন দীর্ঘদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত লাখো মানুষের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ৬১ লাখ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে, যার মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৪৫ লাখ।