ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়া স্বামীবাগ এলাকায় একটি বাসার বাথরুমে আয়ুষ রুদ্র দাস (৮) নামে এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ৩টার দিকে গেন্ডারিয়া স্বামীবাগের চারতলা একটি বাসার তৃতীয় তলার বাথরুমে ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুদ্রের বাবা ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, ‘রুদ্রের মা উমা রানী দুপুরে গোসল করত বলে রুদ্রকে। রুদ্র গামছা নিয়ে গোসলখানায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক্ষণ ধরে বের না হওয়ায় তাকে ডাকাডাকি করে মা। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেলে দরজা ভেঙে দেখা যায়, রুদ্র কাপড় রাখার স্ট্যান্ডের সঙ্গে গলায় গামছা পেচিঁয়ে ঝুলে আছে। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে প্রথমে স্থানীয় সালাউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু। তবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা বলতে পারছি না। এতটুকু ছেলে তো ইচ্ছাকৃতভাবে গলায় ফাঁস দেওয়ার কথা না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে স্বামীবাগ থেকে ওই শিশুকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি গেন্ডারিয়া থানায় জানানো হয়েছে।
রুদ্রের বাবা ইন্দ্রজিৎ দাষ জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হায়দ্রাবাদ গ্রামে। বর্তমানে গেন্ডারিয়া স্বামীবাগ এলাকার ওই বাসায় তিনতলায় ভাড়া থাকে। ছেলে রুদ্র দাস স্থানীয় কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে আয়ুষ রুদ্র দাস ছিল ছোট।