ঢাকা: অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্য পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল, মসুর ডাল ও চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বেসরকারি পর্যায়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানা বিশিষ্ট) আমদানির সুপারিশ করে অনুমতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল (সুগন্ধী চাল ব্যতীত) এবং ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চাল আমদানির জন্য আবেদনকৃত ২৪২টি আবেদনের অনুকূলে গত রোববার (১০ আগস্ট) বাণিজ্য সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ৫টি শর্ত পালন করতে হবে। এগুলো হচ্ছে- আমদনিকারকদেরকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে; আমদানিকৃত চালের পরিমাণ-গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক-কে অবহিত করতে হবে; বরাদ্দের অতিরিক্ত ‘ইমপোর্ট পারমিট’ (আইপি) ইস্যু/জারি করা যাবে না; আমদারিকৃত চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এং আমদানিকৃত চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
এদিকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ৫ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
‘সিনকস অটোমেশন টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে গত বুধবার (১৩ আগস্ট) এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে- জানিয়ে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যমান ‘আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪’ অনুযায়ী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এলসি’র মাধ্যমে মসুর ডাল ও চিনি ইত্যাদি পণ্যের আমদানি অবাধ।
অনুমোদন পত্রে বলা হয়েছে, মসুর ডাল ও চিনি অবাধে আমদানিযোগ্য পণ্য। এমতাবস্থায় এলসি’র মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৫ লাখ মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ৫ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আন্তর্জাতিক মান এবং বিএসটিআই’র নির্ধারিত মান পরিপালন সাপেক্ষে আমদানি করা যেতে পারে।