চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত যানবাহন জব্দ ও চালকদের পুলিশী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে ‘রিকশা, ব্যাটারি-রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’। এসব যানবাহনকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মাধ্যমে লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়।
সংবাদ সম্মেলনে আল কাদেরী জয় বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ওপর প্রশাসনিক দমন-পীড়ন চলছে। শৃঙ্খলা তৈরির নামে দিনে-রাতে নির্বিচারে গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে, জরিমানা আদায় করছে, মামলা দিচ্ছে। আবার এসব যানবাহনের চালকরা পুলিশের মারধরেরও শিকার হচ্ছেন। এমনও হচ্ছে, সাধারণ যাত্রী সেজে গাড়িতে উঠে পরে সেটি জব্দ করছে। আয়-রোজগার হারিয়ে হাজারো চালক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
গত ১১ আগস্ট সিএমপি কমিশনারের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত যানবাহন ব্যবহার না করার জন্য নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে সিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট ২২টি মহাসড়ক ব্যতীত ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলের বৈধ বলে রায় দিয়েছেন, সেখানে সিএমপি কমিশনারের এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি তো আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই বিজ্ঞপ্তির কি বৈধতা আছে ?
সিএমপি’র এ ধরনের প্রজ্ঞাপন শুধু অস্থিরতা তৈরি করবে, সমাধান আনবে না- বলে মন্তব্য করেন আল কাদেরী জয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বৈধ ঘোষিত ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন জব্দ ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ করা, বিআরটিএ লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়া এবং জব্দ গাড়ি ২১ দিন পর্যন্ত আটকে রেখে জরিমানা আদায় বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব মনির হোসেন, সদস্য আহমদ জসিম, মাসুদ, মোহাম্মদ সোহেল, মনির হোসেন, শফি মোহাম্মদ, মহিউদ্দিন প্রমুখ।