ঢাকা: অবসরে যাওয়ার পরও যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী বাংলাদেশ (ইউকে) লিমিটেড’-এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, সরকারের সিনিয়র সচিব হিসেবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মো. আসাদুল ইসলাম ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট অবসরে যান। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবসরের পরও তিনি সোনালী বাংলাদেশ (ইউকে) লিমিটেড এর চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র মতে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র মতে, সাবেক সচিববের এ নিয়োগটি ২০১৭ সালে জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক।
২০১৭ সালের ওই পরিপত্র অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে চাকরি থেকে অবসরে গেলে সংশ্লিষ্ট পদের দায়িত্ব তাৎক্ষণিকভাবে শূন্য বলে গণ্য হবে এবং নতুন নিয়োগ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটির আগের নাম ছিল সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেড। দীর্ঘমেয়াদি লোকসানসহ নানা অনিয়মের কারণে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট এর লাইসেন্স বাতিল করে দেয় যুক্তরাজ্য। লাইসেন্স বাতিলের পর এটি পুনর্গঠন করে সোনালী বাংলাদেশ (ইউকে) লিমিটেড নামে নতুন প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ও ট্রেড এনটিটি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এর পরিশোধিত মূলধন ৬১.৪৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বর্তমান মূল্যে যা ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি)।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের এলসি বিল অ্যাডভাইজ, নেগোশিয়েট, কনফার্ম ও ডিসকাউন্ট সুবিধা প্রদান। এছাড়া যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈদেশিক রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করাও এর অন্যতম দায়িত্ব।
জানা যায়, বর্তমানে সোনালী বাংলাদেশ (ইউকে) লিমিটেড ছাড়াও ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক- এই সাতটি এক্সচেঞ্জ হাউস কার্যক্রম চালাচ্ছে।