ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটাই আসল সংস্কার। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে যে পরিবর্তন আসে, সেটাই সংস্কার হিসেবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন চাপিয়ে দেওয়া কখনোই গণতান্ত্রিক নয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “কয়েক বছর আগে ইভিএম চালু করা হয়েছে। বলা হয়েছিল আঙুলের ছাপ বা টিপসই ছাড়াই শুধু বোতাম টিপে ভোট দেওয়া যাবে। এটিকে আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে আনা হলেও এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের নামে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পালটে দেওয়া হচ্ছে। আপনি কোন দলকে ভোট দেবেন, কে এমপি হবেন—এসব নির্ধারণ করার অধিকার জনগণের। অথচ এখন বলা হচ্ছে দল ঠিক করবে।’’
তিনি বলেন,‘‘ জনগণকে আঁধারে রেখে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা যাবে না। যদি পরিবর্তন আনতেই চান, তাহলে জনগণকে বলুন, তারা যদি সমর্থন করে নির্বাচিত করে তবে পরিবর্তন করুন—এটাই গণতান্ত্রিক নিয়ম।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘‘সংস্কারের প্রস্তাবে শ্রমিক ও ছাত্রদের বিষয়ে কোনো উল্লেখ রাখা হয়নি, যা অত্যন্ত জরুরি ছিল। বরং অন্য প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।’’
রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকের মনে হচ্ছে বিএনপি ইতোমধ্যে ক্ষমতায় চলে এসেছে আর তারা বিরোধী দলে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জিতবে বলেই আগেভাগে বিরোধিতা শুরু হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”
নজরুল ইসলাম খান বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এই দফাগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে এবং জনগণের কাছে সেগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। ষড়যন্ত্র চলছে, তাই জনগণকে বোঝানো জরুরি। সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের সঙ্গে কথা বলা এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে বুঝেশুনে আলাপ করা।”