হিলি, দিনাজপুর: হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি পারিমট) বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন বলে দাবি করেছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
বন্দর পথে তিনদিন পেঁয়াজ আমদানির পর হঠাৎ করে পেঁয়াজের আইপি বন্ধের প্রতিবাদে বুধবার (২০ আগস্ট) হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারকদের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেঁয়াজ আমদানিকারক ফেরদৌস রহমান, আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, ওয়েদুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি মাসের ১৪ তারিখে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি উম্মুক্ত করে দেওয়ার পর হঠাৎ করেই গত ১৯ তারিখ তা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের এ ধরনের আকস্মিক সিদ্ধান্তের ফলের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীয়া। ইতোমধ্যে ভারত অভ্যন্তরে ১৫০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পেঁয়াজগুলো আমদানি করতে না পারলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি শিকার হবেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় বলে জানা যায়
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারলে দেশের বাজারে আবারো পেঁয়াজের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে সিন্ডিকেট।
এমতাবস্থায় স্থিতিশীল ও সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারেরর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।