বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-মিয়ানমার সীমান্তে দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয় এবং দীর্ঘক্ষণ থেমে থেমে গোলাগুলি চলে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত ঘেঁষা তুমব্রু এলাকায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নারী-শিশুরা ভয়ে রাত জেগে থাকে।
তুমব্রু বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রাইট ক্যাম্প বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ চৌকি দখলে নিতে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ একে-৪৭সহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে এবং অন্তত অর্ধশতাধিক গুলির শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায় দুই বছর আগে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে সীমান্ত এলাকার এ চৌকিগুলো দখল নেয় আরাকান আর্মি। সম্প্রতি আরসা এসব চৌকি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূট্টো বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক এসএম খায়রুল আলাম বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়। তিনি বলেন, বিজিবির সীমান্তে নিয়মিত টহল চলমান রয়েছে। বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।’