গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জে তিস্তানদীর ওপর নির্মিত পাঁচপীর বাজার থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সংযোগে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকর্তাদের মধ্যে মাওলানা ভাসানী একজন। তিনি তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তার সম্মানে আমরা সেতুর নামকরণ করেছি মাওলানা ভাসানী সেতু। এ অঞ্চলের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম অংশে সংযোগ সড়কের বাকি কাজটুকু বর্ষাকালের পর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে কুড়িগ্রাম থেকে রাজধানীর দূরুত্ব কমবে ৬০ কিলোমিটার। তাছাড়া, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে প্রসার ঘটবে।’
এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সেতুসংলগ্ন চৌরাস্তা মোড়ে উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য দেন দাতা সংস্থা সৌদির ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি)-এর এশিয়া অপারেশনসের মহাপরিচালক ড. সৌদ আয়ীদ আলশাম্মরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান (এনডিসি), যুগ্ন-সচিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান, উপসচিব শামীম বেপারী, যুগ্ন-সচিব শাহিনুর আলম ও সিনিয়র সহকারী সচিব ফারজানা আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জেলা প্রশাসক চৌধূরী মোয়াজ্জম আহমদ, পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা, জামায়াতের আমির ডা. আব্দুর রহিম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা।
উল্লেখ্য, তিস্তানদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ আর প্রস্থ ৩৯ দশমিক ৬০ মিটার। ২০১২ সালে এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। শিডিউল অনুযায়ী অর্থ ছাড়ের পর ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে নির্মাণের পর ৪ দফা উদ্বোধনের সময় পিছিয়েছে।