যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ বা স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ভিসা পেতে এখন থেকে আরও কঠোর যাচাইয়ের মুখোমুখি হতে হবে আবেদনকারীদের। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কারও মধ্যে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ মনোভাব পাওয়া গেলে তার ভিসার আবেদন বাতিল করা হবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হালনাগাদ নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদনকারীর সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না, অথবা তিনি ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না—এসব খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমও যাচাইয়ের আওতায় আসবে।
ইউএসসিআইএস মুখপাত্র ম্যাথু ট্রাগেসার বলেন, “যারা আমেরিকাকে ঘৃণা করে কিংবা আমেরিকা-বিরোধী মূল্যবোধ ছড়ায়, তাদের এখানে কোনো সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।”
তবে নতুন নীতিতে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বা ইহুদিবিদ্বেষী মতাদর্শ যাদের মধ্যে রয়েছে, তারাও এ তালিকায় পড়বেন।
নীতিটির অস্পষ্টতার কারণে অনলাইনে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। মার্কিন অভিবাসন কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ ফেলো অ্যারন রেইখলিন-মেলনিক একে ‘ম্যাককার্থিইজম’-এর পুনরাবৃত্তি বলে অভিহিত করেন। তার মতে, অভিবাসন আইনে এর আগে কখনো ‘আমেরিকা-বিরোধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি; এটি মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন ধারণা।
ব্রিগহ্যাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক লিলি লোপেজ জানান, এই নীতি কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
তার ভাষায়, একজন আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি আমেরিকা-বিরোধী নন—এটি অনেক কঠিন একটি প্রক্রিয়া।