ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে, যা রোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আজ খুব সুচারুভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা চলছে। ১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। অথচ সেই মুক্তিযুদ্ধই আমাদের এনে দিয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই সত্য ভুলে গেলে চলবে না।’
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার মাধ্যমেই ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। সেই মহান যুদ্ধে লাখো শহিদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি একটি স্বাধীন দেশ। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অস্বীকার করা মানে দেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি। সেই আন্দোলনে শহিদ তরুণদের রক্তে আজ আমরা স্বপ্ন দেখছি একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে থাকবে না বৈষম্য, অন্যায় কিংবা দমন-পীড়ন। থাকবে সাম্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা।’
অনুষ্ঠানে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস। আমরা বিশ্বাস করি সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সমঅধিকারের পক্ষে। আমাদের রাজনীতি কখনো উগ্রবাদ বা সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপস করবে না। বাংলাদেশে কোনোভাবেই উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ সময় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব।’ তিনি সকল সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে উগ্রবাদ ও স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতারা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।