নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দুঃস্থ ও ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাত থেকে অন্তত ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল হক অসহায় মানুষদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সহযোগিতা করার কথা বলে ৩৩ লাখের বেশি টাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে ২৮ জুলাই এই কর্মকর্তা অফিসে অনুপস্থিত।
পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরই মধ্যে কমিটি জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক অসহায় দরিদ্রদের প্রতারণা করে নকল সই করে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার, মাতৃকেন্দ্রের ঋণ কর্মসূচির ৫ লাখ ১৩ হাজার, ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের ১ লাখ ৪০ হাজার ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ২২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন।
তিনি উপজেলা অফিসের কর্মীদের থেকে ঋণের ২ লাখ ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের থেকে মায়ের অসুখসহ নানা অজুহাতে আরও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছেন।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, অবশ্যই টাকা ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। টাকা ফেরত পাওয়া না গেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অফিস সহকারী নিজামুল আজাদ বলেন, ‘আমি স্যারের সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারছি না। গত ২৮ জুলাই থেকে তিনি অফিসে আসছেন না। উনাকে খোঁজ করতে অনেক মানুষ অফিসে এসে ঘুরে গেছেন। আমি বেশি জানি না। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।‘
মোহনগঞ্জ উপজেলা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহ আলম জানান, এ পর্যন্ত যেটুকু জানি অসহায় দুস্থদের নিকট থেকে আনা ৩৩ লাখের বেশি টাকা আইনের তোয়াক্কা না করে অফিসের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেছেন তিনি। এরই মধ্যে এর উপযুক্ত তদন্ত প্রতিবেদন অধিদফতরে দাখিল ও করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।