বেনাপোল: বাংলাদেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ চার মাস পর আবারও ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ২১ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত দুটি চালানে মোট ৪২১ মেট্রিক টন মোটা চাল দেশে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে প্রথম চালানে ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন এবং শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে দ্বিতীয় চালানে ৩টি ট্রাকে ১০৬ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। চালগুলো বর্তমানে বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সমিট ইয়ার্ডে রাখা আছে।
চালবাহী ট্রাকগুলো দেশে প্রবেশ করলেও, শুল্ক ছাড়পত্রের জন্য কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এখনো কাগজপত্র দাখিল করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার এই কাগজপত্র জমা দেওয়া হতে পারে। এরপর বেনাপোল কাস্টমসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পর চালগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মহসিন মিলন জানিয়েছেন, ভারত সীমান্তে আরও কয়েকটি চালবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে। এসব চালান দ্রুত ছাড় হলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমবে। তবে, উচ্চ শুল্কহারের কারণে আমদানির পরিমাণ সীমিত থাকার আশঙ্কাও তিনি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত কাগজপত্র সাবমিট করলে চালগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হবে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠানই নতুন করে এলসি খুলেছে এবং আরও চাল শিগগিরই দেশে প্রবেশ করবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই আমদানির ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।
জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যেখানে মাত্র ২৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চাল আমদানি হয়েছিল, সেখানে এ বছর তা বেড়ে ৬৮২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজি রতন বলেছেন, ‘দ্রুত চাল খালাস করে বাজারে সরবরাহ দেওয়ার জন্য আমরা সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।’