ঢাকা: বর্ষাকালের প্রভাবে ঢাকার বাতাসে ধুলো ও দূষণ কমে সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে সুইসভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আইকিউএয়ারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) দাঁড়িয়েছে ৬৪ তে, যা সহনীয় মাত্রার মধ্যে পড়ে।
আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৭তম। এর আগের দিন শনিবার সকালে ঢাকার একিউআই সূচক ছিল ৬২ এবং অবস্থান ছিল ৩৫তম।
অন্যদিকে, বৈশ্বিক দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাটাম। শহরটির একিউআই সূচক ১৬৪, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রার নির্দেশক। এছাড়া, তালিকার শীর্ষ পাঁচে আছে—সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (১৬১), ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৫৬), ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (১৫৬) এবং ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা (১৫২)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান উৎস হলো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা। দীর্ঘ সময় এ দূষণের সংস্পর্শে থাকলে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ, এমনকি ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ডে বায়ুমান সূচক ৫০ এর নিচে থাকলে তা বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১–১০০ হলে সহনীয়, ১০১–১৫০ হলে সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১–২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১–৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০-এর বেশি হলে বাতাসকে দুর্যোগপূর্ণ বলা হয়।
প্রতি বছর দূষিত বায়ুর কারণে বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গৃহস্থালি ও পরিবেশজনিত বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন— মাস্ক ব্যবহার, অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, শিল্পকারখানায় বর্জ্য না পোড়ানো এবং পুরোনো ধোঁয়াযুক্ত যানবাহনের ব্যবহার সীমিত রাখার মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব।