পটুয়াখালী: বাউফলে ডাকাতির সময় দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন গ্রামবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত উজ্জল একই উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ডাকাত দলের আরেক সদস্য রাজিবের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৮/১০ জনের মুখোশধারী স্বশস্ত্র একদল ডাকাত প্রথমে ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জলিল জোমাদ্দারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে। এরপর ডাকাত দল নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নেয়। ওই ঘরে ডাকাতি শেষে ডাকাত দল একই এলাকার সেনা সদস্য সোহাগ হাওলাদারের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাকাত দলকে ঘেরাও করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অধিকাংশ ডাকাত দল পালিয়ে যায়। তখন গ্রামবাসী ধাওয়া করে দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তবে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা লুট করা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই এলাকার বিএনপি নেতা রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, আটক দুই ডাকাত সদস্যদের মধ্যে একজন রাজিব ও অপরজন মতিন নামে পরিচয় দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ডাকাতির অভিযোগে আটক দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।