চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোর একে একে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আর দেশীয়গুলোর কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আদায়ে হিমশিম খাওয়া– এ নিয়েই চলছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোর অনাগ্রহের কারণে গত একবছরে চারটি আন্তর্জাতিক রুটে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে গেছে। আর দেশীয় বিভিন্ন বিমান সংস্থার কাছ থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বকেয়া পাওনার পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি বিমান সংস্থা বকেয়া পরিশোধ না করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এ অবস্থায় এত বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বারবার তাগাদা দিয়েও বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় বন্ধ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এ বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে বিমানবন্দরটির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। ২০০০ সালে কার্যক্রম শেষ হলে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে ওঠে। ওইবছর থেকেই এ বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা শুরু হয়।
এর পর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে বার্ষিক ৬ লাখ যাত্রীসেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২০০২ সালে ‘চিটাগাং এয়ারপোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সম্প্রসারণে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। ২০০৯ সালে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি দেয়।
সূত্রমতে, ২০০০ সাল থেকে ১৭টি বিদেশি এয়ারলাইনস পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। তখন চট্টগ্রামের যাত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও সরাসরি কলকাতা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নেপাল যেতে পারতেন। এর মধ্যে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১১টি বিদেশি এয়ারলাইনস তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে চলে যায়। সেগুলো হলো- থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার, ড্রাগন এয়ার, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা (আরএকে) এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, সিল্ক এয়ার।
২০২০ সালে কোভিড অতিমারির পরে আরও তিনটি বিদেশি বিমান সংস্থা চট্টগ্রাম থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। এর মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ভারতভিত্তিক স্পাইস জেট বিমান ও কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ এবং ২০২৪ সালের ৮ মার্চ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে ওমান এয়ার।
এখন শুধু বিদেশি বিমান সংস্থার মধ্যে এয়ার এরাবিয়া ও সালাম এয়ার চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহণ অব্যাহত রেখেছে। এরা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রী পরিবহণ করে। এদের সঙ্গে দেশীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এবং বেসরকারি ইউএস বাংলা মধ্যপ্রাচ্য রুটে যাত্রী পরিবহণ করে। এর বাইরে গত একবছরে চারটি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক রুটে সরাসরি চলাচল কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামভিত্তিক যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। বিদেশি বিমানসংস্থার ফ্লাইট না থাকায় চট্টগ্রামভিত্তিক যাত্রীদের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে যেতে হচ্ছে। অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা ওমানের মাস্কাট হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা-চীনসহ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বেড়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ভ্রমণ না হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সূত্রমতে, ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে যখন বিদেশি বিমান যাত্রা শুরু করে, তখন সর্বোচ্চ ৬ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে এ বিমাবন্দরে গড়ে ১৪ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। আর বর্তমানে প্রতিবছর ২০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে অন্তত ১৭ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বিমানবন্দরের কাজের পরিধি, যাত্রী বেড়েছে। ফ্লাইটও বেড়েছিল। কিন্তু সে তুলনায় বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত সক্ষমতা না বাড়ায় এবং চার্জের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ হারিয়েছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যাত্রীসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেজন্য বাংলাদেশ বিমান এবং অভ্যন্তরীণ কোম্পানি ইউএস বাংলার ফ্লাইট আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া, বিদেশি সংস্থার মধ্যে শুধুমাত্র সালাম এয়ার এবং এয়ার এরাবিয়া চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং কলকাতায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সাতটি দেশীয় সংস্থার বিমান চলাচল করতো গতবছর পর্যন্ত। এর মধ্যে তিনটি বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো হলো- জিএমজি এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও রিজেন্ট এয়ার। বর্তমানে যে চারটি সংস্থার বিমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহণে নিয়োজিত আছে সেগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমান, বেসরকারি ইউএস বাংলা, নভো এয়ার এবং এয়ার অ্যাস্ট্রা।
এর মধ্যে এয়ার অ্যাস্ট্রা বাদে বাকি ছয়টি সংস্থার কাছে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মোট পাওনা ২ হাজার ১৩০ কোটি ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮০ টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ৩৫৪ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ৭৮২ টাকা, ভ্যাট ৯৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৯৯ টাকা এবং সারচার্জ ১ হাজার ৬৮২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০২ টাকা।
সূত্রমতে, বন্ধ হয়ে যাওয়া তিনটি দেশীয় সংস্থার মধ্যে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারের কাছে পাওনা ২৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৮ টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ৬৮ কোটি ৫৯ লাখ ৬১ হাজার ৮৮২ টাকা, ভ্যাট ১০ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা ও সারচার্জ ১৭৩ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা।
ইউনাইটেড এয়ারের কাছে পাওনা ৫৪ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৩ টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ৮ কোটি ৯০ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫১ টাকা, ভ্যাট ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬ হাজার ৪৩২ টাকা ও সারচার্জ ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা। আর জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে মোট পাওনা ২৯ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৪২৯ টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ৪ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯০ টাকা, ভ্যাট ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৯ টাকা ও সারচার্জ ২৪ কোটি ২০ লাখ ৯২ হাজার ৩১০ টাকা।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে সরকারের রাজস্ব পেন্ডিং আছে বেশকিছু এয়ারলাইন্সের, যেগুলো অলরেডি বন্ধ হয়ে গেছে। যেমন- রিজেন্ট এয়ার, জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ার। প্রায় ৬০০ কোটি টাকার মতো পাওনা ছিল তাদের কাছে। তিনটা স্লটে তারা কিছুটা কাভার করেছে। এখনও প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার মতো তাদের কাছে আমাদের বকেয়া পাওনা আছে।’
এছাড়া, নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করা রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমানের কাছেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মোট পাওনা ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ২৬৪ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৬ টাকা, ভ্যাট বাবদ ৮০ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৭ টাকা এবং সারচার্জ বাবদ ১ হাজার ৪৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৭ টাকা।
ইউএস বাংলার কাছে মোট পাওনা ৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৪ টাকা ৭২ পয়সা। এর মধ্যে মূল বিল ৭ কোটি ৩৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৩২ টাকা ৮ পয়সা। ভ্যাট বাবদ ১১ লাখ ২৭ হাজার ১৪ টাকা ৯ পয়সা ও সারচার্জ বাবদ ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৭ টাকা পাওনা আছে।
নভো এয়ারের কাছে ৯৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৮ টাকা ৫০ পয়সা পাওনা আছে। এর মধ্যে মূল বিল ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৪৩০ টাকা, ভ্যাট ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৬ টাকা ৫০ পয়সা ও সারচার্জ ২৩ হাজার ৪৫২ টাকা।
সূত্রমতে, ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমান সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ছয় ধরনের অ্যারোনটিক্যাল চার্জ আদায় করে থাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, রানওয়ে, এপ্রোন এরিয়া, টার্মিনাল, বোর্ডিং ব্রিজ, অ্যাম্বারকেশন, ওভার ফ্লাই ল্যান্ডিং-ফ্লাই এবং বিমান পার্কিং খাত।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছয় ধরনের অ্যারোনটিক্যাল এবং নন অ্যারোনটিক্যাল চার ধরনের চার্জ আদায় করা হয়ে থাকে। এসব চার্জ নিয়মিত পরিশোধ না করায় বিপুল বকেয়া জমা হয়ে গেছে। আমরা তাদের কাছে নিয়মিত চিঠি দিই। সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয় এর মধ্যেই পরিশোধ করতে। কিন্তু এর মধ্যে কোনো সংস্থা একদমই পরিশোধ করে না, আবার কেউ পাওনার ফিফটি পারসেন্ট হয়তো দিচ্ছে। এভাবে পুরোটা পরিশোধ না করায় জমতে জমতে অনেক টাকা হয়ে গেছে। এখন বকেয়া আদায়ে কী ধরনের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
চট্টগ্রাম এভিয়েশন ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যে বকেয়া পাওনা আছে, আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সেগুলো আদায় করা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে, পালটাপালটি দোষারোপ না করে সরকারি পর্যায় থেকে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। যেমন- এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে চার্জ বেশি এমন অভিযোগ করা হয়ে থাকে। বিদেশি এয়ারলাইন্স যেগুলো এখন আর ফ্লাইট অপারেট করছে না, তাদেরও তো এমন অভিযোগ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এক্ষেত্রে সিভিল অ্যাভিয়েশন, এয়ারলাইন্স এবং সরকারের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আগে তাদের বিবেচনা করতে হবে কেন এয়ারলাইন্সগুলো এত বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রাখছে। কেন চার্জ বেশি এমন অভিযোগ তারা করছে, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা যেটুকু দেওয়া প্রয়োজন সেটা তারা পাচ্ছে কি না, বিদেশি সংস্থাগুলো ফ্লাইট অপারেট করছে না কেন- এসব বিষয় একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে এর আলোকে একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে একটি সমন্বিত কমিটি করা হোক।’
আসিফ চৌধুরীর মতে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একে একে বিদেশি ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগসহ সামগ্রিক সংকটের প্রভাব পড়ছে সংশ্লিষ্ট নানা খাতে। অ্যাভিয়েশন খাতের বেসরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এর সরাসরি ভুক্তভোগী।