ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৫ আগস্ট) দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে। এসব কোম্পানির ওপর ভর করে মূল্য সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার ১৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির দর বেড়েছে । সেই সঙ্গে অন্যান্য খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান হয়। তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এ পর্যায়ে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখাতে থাকে ব্যাংক ও বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই-তে সব ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের ৩০টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১টির দাম কমেছে। আর ৫৫টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে।
ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ার দিনে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪৪টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ২৬টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসই-তে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমলেও এটি চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
সিএসই’র সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৭০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।