ইবি: অর্ডিন্যান্স পাশ হলে নভেম্বরের মধ্যেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ইকসু গঠনে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ এর প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে সাক্ষাতকালে এসব বলেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনে ইকসুর কোনো বিধান নেই। তাই ইকসু গঠনের জন্য শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রস্তুত করবে। এরপর উক্ত খসড়া সিন্ডিকেটে পাস করে ইউজিসিতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউজিসি অনুমোদন দিলে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে খসড়াটি অর্ডিন্যান্স আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে। খসড়া ও অর্ডিন্যান্স আকারে পাশের সকল প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি। এরপরই শিক্ষার্থীরা চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আয়োজন করা যাবে।
এছাড়াও আইনি জটিলতার পাশাপাশি ইকসু গঠনে বাজেট-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে ডাকসুর জন্য পৃথক বরাদ্দ থাকে, যেখানে প্রত্যেক পদধারীর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারিত। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে এমন কোনো আলাদা বরাদ্দ নেই। ফলে, এই অর্থ কাকে এবং কীভাবে দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন একটি লিগ্যাল এন্টিটি। এই লিগ্যাল এন্টিটি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, ইকসুও সেই সময়কাল ধরে স্থায়ীভাবে কার্যকর থাকবে। এছাড়া তিনি সাজিদ হত্যা ও জুলাই বিরোধীদের বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো ব্যবহার করা ভুয়া পেইজগুলো বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম এবং মুভমেন্ট ফর ইকসু প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল রোববার ইকসু গঠন নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগ’ কর্মসূচি পালন করেন ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ এর প্রতিনিধিরা।