ঢাকা: রাস্তা বন্ধ করে কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো. নাজমুল করিম খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার রাস্তা বন্ধ করে কর্মস্থলে যাওয়া-আসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। রাস্তা বন্ধ করে কেন তিনি কর্মস্থলে যান, সে জন্য তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’
লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিস্তলে ৫০ হাজার, শটগানে ৫০ হাজার, চায়নিজ রাইফেলে ১ লাখ, এসএমজিতে ১ লাখ ৫০ হাজার, এলএমজিতে ৫ লাখ, প্রতিটি গুলির জন্য ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।’ কেউ লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিলে তার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যতটা সম্ভব লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রচুর নিয়োগ হচ্ছে।’ নিয়োগ বাণিজ্যে হলে সে খবর জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে নিয়োগ বাণিজ্যের খবর হয়নি।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘চেয়ারে বসার পর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন গজিয়েছে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি জড়িত হলে তা জানাবেন।‘ উপদেষ্টা কেউ দুর্নীতি করলে সে খবর প্রকাশ করেন, তবে ভুল খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
ভারতে গ্রেফতার আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে যথাযথ চ্যানেলে পাঠানোর নিয়ম আছে। সে ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের ওপর। তারা নির্বাচনমুখী হলে অনেক সমস্যা কমে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন জাতির আশা। সে আশা পূরণ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।’’