ঢাকা: জুলাই হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সায়েম। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি আফ্রিদিকে নিয়ে আড়াই বছর আগের ঘটনা ফাঁস করেছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর সায়েম তার পেজে ১২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আড়াই বছর আগে আমি তৌহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে একটি ভিডিও বানাই। ওই ভিডিওতে আমি কিছু সত্য তুলে ধরি। কিন্তু তা দেখে তৌহিদ আফ্রিদি মেনে নিতে পারেননি। তাদের টিম থেকে আমাকে কল করা হয়।’
সায়েম আরও বলেন, ‘ওই ভিডিও তৈরির কারণে যদি ভুল হয়ে থাকে সেজন্য আমি তাকে বলেছিলাম ভাই ভুল হলে আমি ভিডিওটি ডিলেট করে দেব। কিন্তু তারা ভিডিও ডিলেট না করার কথা বলে। আমাকে জানায়, যেহেতু আমি ভিডিওটি বানিয়ে ফেলেছি তাই ডিবি অফিসে এসে মুচলেকা দিয়ে লিখিত কাগজ জমা দিতে। যেখানে লেখা থাকবে কখনও এ রকম ভিডিও আমি বানাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভাবলাম যেহেতু ডিবি অফিস বলা হয়েছে, পুলিশ সংযুক্ত রয়েছে সমস্যা হবে না। পরিচিতি অনেককে জিজ্ঞাসা করি, ভাই উনিতো আমাকে ডেকেছে কী করবো, সবাই ভরসা দেয়। আমি যখন ডিবি অফিসে যাই, তখন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এক পুলিশ অফিসার আমার হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘এরপর আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন ওকে নিয়ে এমন ভিডিও বানালাম। আমি বিশ্লেষণ করতে মাত্র শুরু করেছি, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক একটি স্থানে ১০ থেকে ২০টি বার করে আঘাত করেন। আমাকে গুমও করতে চেয়েছিল সে পুলিশ অফিসার। মার কমানোর জন্য আমার কাছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা চায় তারা। দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলাতে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে নাকে, চোখের সামনে পিস্তল দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এখনো আমার নাক দিয়ে মাঝে মাঝে রক্ত ঝরে। এ অন্যায়ের জন্য আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলাম।’
রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল হক বাবু। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাবুর বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আফ্রিদি ১১তম ও তার বাবা ২২তম আসামি।