ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি দ্বিতীয় লবিং ফার্মকে ভারত সরকার নিয়োগ করেছে। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় রফতানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
পলিটিকোর প্রতিবেদন অনুসারে, বিচার বিভাগে দাখিল করা নথি থেকে জানা যায়, ভারতীয় দূতাবাস ‘ফেডারেল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক’ উন্নত করতে অন্যান্য সেবার পাশাপাশি সাবেক সিনেটর ডেভিড ভিটারের মারকারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্সকে (Mercury Public Affairs) নিয়োগ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা মারকারি কেউই এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু ১৮ আগস্টের নথি থেকে জানা যায়, দূতাবাস মারকারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এলএলসি-কে (LLC) তাদের চুক্তির অধীনে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার ডলার দেবে, যা আগস্টের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে। সব মিলিয়ে ভারত এই ফার্মকে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার দেবে।
এই অঙ্কটি জেসন মিলারের এসএইচডব্লিউ পার্টনার্স এলএলসি-কে (SHW Partners LLC) ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের দেওয়া ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় অনেক কম।
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মারকারির অংশীদার ব্রায়ান ল্যাঞ্জা, যিনি পূর্বে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের (transition team) যোগাযোগ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন, তার নাম এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের তালিকায় রয়েছে।
ট্রাম্প ইউক্রেন আক্রমণের সময় রাশিয়ার তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ায় ভারতকে শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত খারাপ হচ্ছে। ভারতের ওপর বর্তমানে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত রয়েছে, তাদের কাছে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ না করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে রাজি করানোর জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় আছে।
গত সপ্তাহে, হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানান, তিনি আশা করেন অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কার্যকর হবে।