ঢাকা: প্রয়োজনে ভ্যাটের হার কমানো হতে পারে, তবে তা সবার জন্যে একই রকম হতে হবে- বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ভ্যাট রেট কমাতে আমরা রাজি আছি। প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। দুটি রেট হতে পারে। কিন্তু সিঙ্গেল রেট হতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রিফর্ম কর্পোরেট ট্যাক্স অ্যান্ড ভ্যাট, এ জাস্টিস পার্সপেক্টিভ ফর এনবিআর’ শীর্ষক এক ডায়লগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে আমরা দুটি রেট করতে পারি। তবে সিঙ্গেল রেট করার বিকল্প নেই। আমরা কোনভাবেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিতে চাই না। যতোটুকু হওয়ার ততোটাই নিতে চাই। ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্সে আমরা ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।
তিনি বলেন, দেশে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও খুব কম। আমাদের এখন অনেক বেশি ঋণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা কোনভাবেই ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে পারছি না। কর ছাড়ের পর আবার কর ছাড় দিতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো খাতে দীর্ঘকাল ধরে কর ছাড় চলে আসছে। কিন্তু এটা হতে পারে না। আমরা এখন কর ছাড় কমিয়ে আনছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অডিট ম্যানুয়াল সিলেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অডিট হবে বেইজড অন অটোমেটেড। ভ্যাটের ক্ষেত্রে আমরা এখনো অটোমেটেড সিলেকশন চালু করতে না পারায় অডিট বন্ধ রয়েছ। এনবিআরে এখন দুই বিভাগ হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যানদের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় নীতি নিয়ে। ফলে কর সংগ্রহ করা যায় না। এখন আলাদা করে একজন ট্যাক্স কালেকশন করবেন। আরেকজন নীতি প্রণয়ন করবেন। এতে কর আদায় বাড়বে।
এদিকে, দেশের ৮২ শতাংশ ব্যবসায়ী বর্তমান কর হারকে ‘অন্যায্য’ বলে মনে করেন, এমন তথ্য উঠে এসেছে (সিপিডি) পরিচালিত সমীক্ষায়। বর্তমানের এই কর হার ব্যবসার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এন্টারপ্রাইজ সার্ভের কাঠামো অনুসরণ করে পরিচালিত এ ভ্যাট সমীক্ষায় ঢাকা ও আশপাশের জেলাসহ মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।