ফরিদপুর: ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মো. আশরাফুল মোল্যাকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানালর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম রবানী ভূঁইয়া রতন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল মোল্যা জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বিলসরাইল গ্রামের রাশেদ মোল্যার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালত উপস্থিত ছিলেন না। এ মামলায় অপর আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি আশরাফুল স্ত্রী সুমা আক্তারকে (২০) নিয়ে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার দাহমাশী জুট মিলস লিমিটেডের শ্রমিক কোয়ার্টারে থাকতেন। ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট দুপুরে আশরাফুল নিজেই পুলিশকে খবর দেন যে তার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের ঘর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরের দিন নিহত সুমার ভাই মো. সেলিম মোল্যা বাদী হয়ে স্বামী আশরাফুল মোল্যাসহ দু’জনের নামে মামলা করেন।
পরবর্তীতে,ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রমাণিত হয় সুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বামী আশরাফুল ইসলামসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এই মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নিহত সুমা আক্তারের স্বামী আশরাফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং অপর আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।