রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহজালাল (২৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গত ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিঠাপুকুরের ছড়ান বালুয়া এলাকা থেকে রূপলাল দাস (৪০) ও প্রদীপ দাস (৩৫) ভ্যান নিয়ে তারাগঞ্জের ঘনিরামপুরে ফিরছিলেন। সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলায় স্থানীয়রা তাদের চোর সন্দেহে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে গুরুতর আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রূপলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং প্রদীপ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান।
নিহত রূপলাল দাস ছিলেন তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর গ্রামের জুতা সেলাই শ্রমিক। মিঠাপুকুরের বালুয়াভাটা গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ দাস এবং ভ্যান চালাতেন। সম্পর্কে প্রদীপ দাস রূপলালের ভাগনির স্বামী।
ঘটনার পরদিন (১০ আগস্ট) নিহত রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে প্রায় ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন— এবাদত হোসেন (২৭), আক্তারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও মিজানুর রহমান (২২)।
তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তি, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শাহজালালকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’