ঢাকায় শুরু ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন ফেয়ার’
৬ জুলাই ২০১৮ ১৪:৪৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ভারতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও সম্ভবনা নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন ফেয়ার-২০১৮।’ শুক্রবার (৬ জুলাই) ছিলো দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলার প্রথমদিন।
মেলায় ভারতের প্রায় ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিরা রয়েছেন। যারা এদেশের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেবেন।
আয়োজকরা জানান, মূলত এইচএসসি উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং পেশাগত উন্নয়ন কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থী আকৃষ্ট করাই তাদের উদ্দেশ্য। এই মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এস এস এক্সিভিশনের কর্মকর্তা ইয়োগেন্দর পাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সারা ভারতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচারণা করে থাকি। বাংলাদেশ কাছের দেশ হওয়ায় এবং এমনিতেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনেক শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়ায় আমরা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি।’
এটা মূলত একটি পারস্পরিক সমঝোতা। ভারত থেকেও প্রচুর শিক্ষার্থী বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়তে আসেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে কেমন সুযোগ আছে তা জানানোই এই মেলার উদ্দেশ্য, বলেন ইয়োগিন্দর।
ভারতের এম এম ইউনিভার্সিটির স্টলে থাকা মুখপাত্র নুসরাত জানান, এই ইউনিভার্সিটিতে ইতিমধ্যেই ১৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে আছেন। ইনিভার্সিটিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সার্কভুক্ত দেশের নাগরিক হিসেবে কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ফলে একটি নূন্যতম খরচ এখান থেকে ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব।
পশ্চিম বাংলা প্রদেশের ‘নেওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে’র প্রশাসন কর্মকর্তা দেবাষ্ণিতা দাস বিশ্বাস সারাবাংলাকে জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো বিষয়গুলোতে অর্নাস ডিগ্রি দিয়ে থাকে। ‘এ বিষয়গুলো সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় এবং এতে চাকরির সুযোগও ভালো’, বলেন দেবাষ্ণিতা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির লেখাপড়া, আবাসন, খাওয়া সব মিলিয়ে খরচ বাংলাদেশের যে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই।
মেলায় আসা একজন অভিভাবক ফাতেমা জান্নাত বলেন, ‘আমি নিজে একজন কলেজ শিক্ষক। আমার মেয়ে আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমি তার জন্য এবং আমার অন্য সব শিক্ষার্থীর জন্য জানতে এসেছি, ভারতে কী ধরনের শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৪ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে অনার্স কোর্সর সুযোগ দিচ্ছে নূন্যতম ২.৫ সিজিপিএসহ যেকোনো শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়াও উচ্চ সিজিপিএর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মূল্যের শিক্ষাবৃত্তি পাবে বলেও জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে।
মেলায় আসা এ লেভেল পরীক্ষার্থী দু’জন ছাত্র রাজকুমার ও ফেবিয়ান জানান, এ লেভেলের পরে আমাদের দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির সুযোগ খুব সহজ নয়। ফলে এমনিতেই এ লেভেলের শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ভারত কাছের দেশ হওয়ায় এবং খরচ অন্য দেশের তুলনামূলক কম হওয়ায় তারা এই মেলা সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছেন। তবে সব বেসরকারি ও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ভবিষ্যত সম্পর্কে শংকার কথাও জানান এ দুই তরুণ।
সারাবাংলা/এমএ/এমও