ঢাকা: ডাটাকে ভবিষ্যতের জ্বালানি হিসেবে আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটিডিইউ) পরিচালক প্রফেসর ড. বিএম মইনুল হোসেন বলেছেন, ডাটা ভবিষ্যতের জ্বালানি। ডাটা যদি অ্যামাজন, ফেসবুক বা গুগলের হাতে থাকে তবে এর নিয়ন্ত্রণ দেশের হাতে থাকবে না।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত ওপেন-স্ট্যাক সভরেইন ক্লাউডবিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। এতে সহযোগিতা করে প্লেক্সাস ক্লাউড লিমিটেড।
ড. বিএম মইনুল হোসেন বলেন, নিজস্ব ক্লাউড প্রতিষ্ঠা ছাড়া ডাটার সার্বভৌমত্ব সম্ভব নয়। দেশের কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা নিতে হবে এবং মিডিয়াকে এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
কর্মশালায় প্লেক্সাস ক্লাউডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, গুগল কোনো প্রযুক্তি কোম্পানি নয়, বরং এটি একটি মার্কেটিং কোম্পানি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রযুক্তি জায়ান্টরা আমাদের ডাটা ব্যবহার করে মুনাফা করছে। আমরা নিজেরাই তাদের হাতে সম্পদ তুলে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জি-মেইলের একটি বিন্দু সরালেই আমাদের স্মার্টফোন অচল হয়ে যায়। এটি ডিজিটাল বন্দিত্ব ছাড়া কিছুই নয়। তাই নিজস্ব ক্লাউড ও ডাটা সেন্টার গড়ে তুলে আমাদের ডিজিটাল স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে বিআইজেএফ-এর সহ-সভাপতি ভুঁইয়া ইনাম লেনিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এরই মধ্যে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। চ্যাটজিপিটি, ডিপসিক, ক্লাউড— এসব সম্পর্কে জানতে ও শিখতে হবে। নইলে সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি হবে।’
বিআইজেএফ সভাপতি হিটলার এ. হালিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘এ ধরনের কর্মশালা প্রযুক্তি বোঝার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এটি আমাদের রিপোর্ট, ফিচার ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।’ তিনি জানান, বিআইজেএফ আগামীতে এআই-সহ সময়োপযোগী প্রযুক্তি নিয়ে আরও কর্মশালা ও নলেজ শেয়ারিং সেশন আয়োজন করবে।
কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিআইজেএফের সাবেক সভাপতি নাজনীন নাহার। কর্মশালায় তথ্যপ্রযুক্তি জগতের ৪০ সাংবাদিক অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।