Wednesday 22 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসের পথে ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী

মিনহাজুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০৮ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৬

মুঘল আমলের স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন—ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী। ছবি: সারাবাংলা

গাজীপুর: গাজীপুরের জয়দেবপুরে চিলাই নদের দক্ষিণ তীরে দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী। ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ শ্মশান রাজপরিবারের সদস্যদের শেষ ঠিকানা ও তাঁদের ঐতিহ্যের প্রতীক হলেও আজ অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে।

বাংলা ১২৫০ থেকে ১২৬০ সালের মধ্যে জমিদার জয়দেব নারায়ণের দৌহিত্র লোক নারায়ণ রায়ের পুত্র গোলক নারায়ণ রায় এই রাজশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন করেন বলে ধারণা করা হয়। তবে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, এর নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন রাজা কীর্তি নারায়ণ রায়। রাজপরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত হতো সৌধ, বসানো হতো নামফলক।

বিজ্ঞাপন

শ্মশান চত্বরে রয়েছে একটি শিবমন্দির, যা মুঘল স্থাপত্যশৈলীর নিখুঁত কারুকার্যে সমৃদ্ধ। ছয় স্তম্ভ বিশিষ্ট এই দৃষ্টিনন্দন মন্দির আজও ইতিহাসপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা মন্দিরের অলংকরণ দেখে ইতিহাসের গভীরে হারিয়ে যান।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ছে শ্মশানের সৌধ ও কারুকার্য। ফাটল ধরা দেয়াল, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা আর নষ্ট হয়ে যাওয়া কারুকাজ ইতিহাসের মহিমা হারাতে বসেছে।

গাজীপুর ভাষা শহিদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক বলেন, “এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যই নয়, ভাওয়াল রাজপরিবারের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতীক। সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই এটি হারিয়ে যাবে।”

এলাকাবাসী জানায়, জেলা প্রশাসনের কাছে বহুবার সংস্কারের আবেদন জানানো হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁদের আশঙ্কা, দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী একদিন বিলীন হয়ে যাবে।

আজও ফাটল ধরা দেয়াল, ভেঙে পড়া কারুকার্য আর ধ্বংসপ্রাপ্ত সৌধগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা ইতিহাসের হারানো অধ্যায়ের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

রিজার্ভ ছাড়াল ৩২ বিলিয়ন ডলার
২২ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর